২০২৪ সালে যেসব রোগ নিয়ে আশঙ্কা করছেন বিল গেটস

২০২৪ সালে যেসব রোগ নিয়ে আশঙ্কা করছেন বিল গেটস

স্বাস্থ্য

জানুয়ারি ২, ২০২৪ ১১:১২ পূর্বাহ্ণ

বিশ্বের নানা প্রান্তের বিজ্ঞান ও উদ্ভাবনসংক্রান্ত গবেষণার বিষয়ে নিয়মিত খোঁজখবর রাখেন মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। নতুন উদ্ভাবন বিষয়ে নিজের মতামত তুলে ধরার পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন সমস্যা ও ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির গতিপ্রকৃতি কেমন হবে, তা-ও নিজের ব্লগসাইট ‘গেটস নোটস’-এ প্রকাশ করেন তিনি। সম্প্রতি চলতি বছরের অর্জন আর আগামী বছরের গতিপ্রকৃত নিয়ে লিখেছেন তিনি।

পাঠকদের জন্য লেখাটি ধারাবাহিকভাবে সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরা হলো। গতকাল ‘এআই’ নিয়ে বিল গেটসের ভাবনা প্রকাশিত হয়েছিল। আজ রইলো দ্বিতীয় পর্ব-

আশা জলবায়ু নিয়ে

আমি বিশ্বের জলবায়ু অগ্রগতি সম্পর্কে বেশ আশাবাদী। আমরা জলবায়ু ও শক্তি নিয়ে কাজ করছি ব্রেকথ্রু এনার্জি নামের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। গেটস ফাউন্ডেশন নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর মানুষকে উষ্ণ পৃথিবীর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সাহায্য করছে। আমি আলঝেইমার রোগের মতো অন্যান্য ক্ষেত্রেও ব্যক্তিগতভাবে গবেষণার জন্য তহবিল দিচ্ছি। আমি এখনো মাইক্রোসফটকে পরামর্শ দিতে পারি। সামনে কী আসছে আর তা কীভাবে বিশ্বকে আরও ন্যায়সংগত জায়গা করে তুলতে ব্যবহার করা যেতে পারে, সে সম্পর্কে আমি জানতে পারি।

আমার কাজ সর্বদা একটি মূল আদর্শের ওপর কেন্দ্রীভূত, উদ্ভাবনই অগ্রগতির চাবিকাঠি। এ কারণেই আমি মাইক্রোসফট শুরু করেছিলাম। এ কারণেই মেলিন্ডা ও আমি গেটস ফাউন্ডেশন শুরু করেছি দুই দশকেরও বেশি আগে। উদ্ভাবনের কারণেই গত শতাব্দীতে আমাদের জীবনে অনেক উন্নতি হয়েছে। বিদ্যুৎ ও গাড়ি থেকে শুরু করে ওষুধ ও উড়োজাহাজের মতো উদ্ভাবন বিশ্বকে উন্নত করেছে। আজ প্রযুক্তি বিপ্লবের কারণে আমরা অনেক বেশি উৎপাদনশীল। সবচেয়ে সফল অর্থনীতির দেশগুলো উদ্ভাবনী শিল্পনির্ভর, আর তাই পরিবর্তিত বিশ্বের চাহিদা মেটাতে কাজ করছে তারা।

এইডস, যক্ষ্মা ও ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করতে হবে

আমার প্রিয় উদ্ভাবনের গল্পের শুরু হয় আমার প্রিয় একটি পরিসংখ্যান দিয়ে। ২০০০ সাল থেকে বিশ্বে পাঁচ বছর বয়সের আগে শিশুমৃত্যুর হার অর্ধেকে কমে এসেছে। আমরা তা করতে পেরেছিলাম আসলে উদ্ভাবনের কারণেই। বিজ্ঞানীরা ভ্যাকসিন তৈরির নতুন উপায় নিয়ে কাজ করছেন, যা দ্রুত ও সস্তা আর খুবই নিরাপদ। বিজ্ঞানীরা নতুন ডেলিভারি মেকানিজম তৈরি করেছেন, যা বিশ্বের সবচেয়ে দূরবর্তী স্থানেও কাজ করে। বেশি বাচ্চাদের কাছে ভ্যাকসিন পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে। নতুন ভ্যাকসিন শিশুদের রোটাভাইরাসের মতো মারাত্মক রোগ থেকে রক্ষা করছে।

সীমিত সম্পদের এই বিশ্বে আপনাকে বেশি প্রভাব তৈরির উপায় খুঁজে বের করতে হবে। উদ্ভাবনের মাধ্যমে ১ ডলার খরচের বিপরীতে সর্বাধিক লাভের চাবিকাঠি পাওয়া যায়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নতুন আবিষ্কারের হারকে দারুণ গতিতে ত্বরান্বিত করছে, যা আমরা আগে কখনো দেখিনি। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় প্রভাব দেখা যাচ্ছে নতুন ওষুধ তৈরির ক্ষেত্রে। নতুন ওষুধ আবিষ্কারের জন্য প্রচুর তথ্য প্রয়োজন হয়। এআই সেই প্রক্রিয়ায় দারুণ গতি দিতে পারে। কিছু প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে এই উপায়ে ক্যানসারের নতুন ওষুধ তৈরির জন্য কাজ করছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে স্বাস্থ্য সমস্যা মোকাবিলা করতে হবে। দরিদ্রদের প্রভাবিত করে এইডস, যক্ষ্মা ও ম্যালেরিয়ার মতো রোগের বিরুদ্ধে কাজ করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *