মানুষের শরীরে কিছু ক্যানসার এতটাই নীরব ও ধীরগতির হয় যে, প্রথমদিকে তা বোঝার কোনো উপায় থাকে না। তেমনই এক জটিল ও অবহেলিত ক্যানসার হলো নেট (এনইটি) যা শরীরের বিশেষ ধরনের কোষ থেকে তৈরি হয়, এই কোষগুলো একদিকে হরমোন উৎপন্ন করে আবার অন্যদিকে স্নায়ুর মতো কাজ করে। এই কোষগুলো আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ছড়িয়ে আছে বিশেষ করে ফুসফুস, অগ্ন্যাশয়, অন্ত্র ও থাইরয়েড গ্রন্থিতে।
লিউকেমিয়া, বা রক্তের ক্যান্সার, শিশুদের মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ ক্যান্সারের একটি। আমাদের হাড়ের ম্যারোতে স্বাভাবিকভাবে রক্তের কোষ ও প্লেটলেট তৈরি হয়। কিন্তু লিউকেমিয়ায় অম্যাচিউর বা অসম্পূর্ণ সাদা রক্তকোষ (WBC) দ্রুত বৃদ্ধি পায়, যা স্বাভাবিক কোষকে ঠেলে দেয় এবং নানা ধরনের উপসর্গ সৃষ্টি করে।
ক্যানসার মুক্তির পর সবাই চান আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে। তবে স্তন ক্যানসার থেকে সেরে ওঠার পর যদি কেউ সন্তান নিতে চান, তাহলে কীভাবে পরিকল্পনা করা উচিত? সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনকোলজি ও প্রজনন চিকিৎসার অগ্রগতির কারণে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত নারীদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে গেছে। বর্তমানে চিকিৎসা শেষ হওয়ার পর মাতৃত্ব অর্জন করা সম্পূর্ণ সম্ভব।
আবহমান গ্রামবাংলার বিলুপ্তপ্রায় এক ফলের নাম চালতা! চালতা একটি বিস্ময়কর ফল, যা তার অনন্য পুষ্টিগুণ ও ঔষধি গুণের জন্য পরিচিত। এটি ‘এলিফ্যান্ট অ্যাপেল’ নামেও পরিচিত এবং এর ভক্ষণযোগ্য অংশটি আসলে ফুলের মাংসল বৃতি।
হার্ট অ্যাটাকের নাম শুনলেই হয়ত মনে হয়, বুকে প্রচণ্ড ব্যথা, ঘাম, অস্বস্তি এবং মৃত্যুর ভয়। কিন্তু সব হার্ট অ্যাটাকেই এই চিহ্ন থাকে না। কিছু হার্ট অ্যাটাক নীরবে, ব্যথাহীনভাবেই ঘটে—যাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানে বলা হয় সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক।
বর্তমানে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে কিডনি রোগে ভোগা ব্যক্তির সংখ্যা। কিডনি সমস্যার চিকিৎসাও বেশ ব্যয়বহুল। তাই সুস্থ থাকতে অঙ্গটির যত্ন নেওয়া জরুরি। রোজকার কিছু ছোট ছোট ভুলে কিডনির স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হয়। দীর্ঘদিন এমনটা চলতে থাকলে একসময় কিডনি কাজ করা বন্ধ করে দিতে পারে।
একেবারে সুস্থ-সবল মানুষ, কোনো রোগ-অসুখ নেই—হঠাৎ একদিন বুকে ব্যথা, তারপর ধরা পড়ল হার্ট অ্যাটাক! এমন ঘটনা এখন অস্বাভাবিক নয়। নিঃশব্দেই অনেক সময় হৃদ্যন্ত্রে রক্ত জমাট বাঁধে, অথচ কোনো সতর্ক সংকেতও মেলে না—না বুকে ব্যথা, না রাতে ঘাম, না অন্য কোনো লক্ষণ। অথচ এর মধ্যেই লুকিয়ে থাকে ভয়াবহ বিপদ।
পুরুষদের মধ্যে একটি মারাত্মক কিন্তু নীরবভাবে বেড়ে চলা রোগ হচ্ছে প্রোস্টেট ক্যানসার। ইউরোলজিস্ট ডা. মাহমুদুর রহমান মাসুদ তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্টে এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেন, প্রোস্টেট ক্যানসার প্রাথমিক পর্যায়ে প্রায় কোনো উপসর্গ ছাড়াই শরীরে ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে, যা সময়মতো শনাক্ত না হলে প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে।
জলবায়ু পরিবর্তন ছাড়াও নানা কারণে বিশ্বের বিভিন্ন শহরে দিন দিন বাড়ছে বায়ুদূষণ। দীর্ঘদিন ধরে মেগাসিটি ঢাকাও বায়ুদূষণের কবলে। তবে সম্প্রতি ঢাকার বায়ুমান কিছুটা উন্নতির দিকে বৃষ্টির কারণে।
হৃদরোগ (হার্ট ডিজিজ) এখনো বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর কারণ। অনেক সময় এটি কোনো লক্ষণ ছাড়াই আচমকা আঘাত হানে। কিন্তু যদি এমন একটি রক্ত পরীক্ষা থাকে যা আগে থেকেই হৃদরোগের ঝুঁকি শনাক্ত করতে পারে?
দীর্ঘ বর্ষার পর এবার দেশ থেকে পশ্চিম মৌসুমি বায়ু (বর্ষা) বিদায় নেওয়ার দ্বারপ্রান্তে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আর কয়েকদিনের মধ্যেই বর্ষা বিদায় নিতে পারে, যার মধ্য দিয়ে শেষ হবে চলতি বছরের ‘দীর্ঘ বর্ষা’ অধ্যায়। উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে শরতেই দেখা যাচ্ছে শীতের আবহ।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল রোববার সকাল আটটা থেকে আজ সোমবার সকাল আটটা পর্যন্ত) তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা হলো ২১৫। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৭৮২ জন নতুন রোগী ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা হলো ৫০ হাজার ৬৮৯ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
জ্বর হলেই নিকটস্থ হাসপাতালে গিয়ে ডেঙ্গুর পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। পরীক্ষায় ডেঙ্গুর সংক্রমণ শনাক্ত হলে অনতিবিলম্বে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও চার জনের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯২ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৪৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।