রিপোর্টার্স২৪ ডেস্ক: চট্টগ্রাম নগরের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকেরা চার দফা দাবি নিয়ে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করায় বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। শিক্ষকেরা জানিয়েছেন, আগেই শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে সোমবার অন্তত তিনটি বিদ্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থীরা ফেরত যেতে দেখা গেছে। মঙ্গলবারও কর্মবিরতি চলছে।
বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির ব্যানারে এই কর্মসূচি চলছে। সমিতি বলেছে, দীর্ঘদিনের পেশাগত মর্যাদা ও বেতন-ভাতাসংক্রান্ত চার দফা দাবির বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের কাছে দুই দিন অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছিল। কিন্তু দাবিগুলো না মানায় শিক্ষকেরা লাগাতার কর্মবিরতিতে গেছেন।
চট্টগ্রাম নগরের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মোট ১০টি। তবে চট্টগ্রাম সরকারি মডেল স্কুল ব্যতীত বাকি ৯টি বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। পরীক্ষা পরিচালনার সময়সূচি পরে জানানো হবে। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, বিদ্যালয় থেকে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বিষয়টি জানানো হলেও অনেকেই তা রাতে দেওয়ায় দেখেননি।
গতকাল দেখা গেছে, খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, হাজী মুহাম্মদ মহসিন সরকারি উচ্চবিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করছেন। তারা বলছেন, ১৯৭৭ সাল থেকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা দশম গ্রেডে আছেন, অথচ সমমর্যাদার অন্যান্য কর্মকর্তাদের নবম গ্রেড দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষকদের চার দফা দাবি হলো:
সহকারী শিক্ষক পদকে বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারভুক্ত করে মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের গেজেট প্রকাশ।
বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখায় কর্মরত শিক্ষকদের শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদায়ন।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আলোকে বকেয়া টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড মঞ্জুর করা।
২০১৫ সালের আগের মতো সহকারী শিক্ষকদের দুই থেকে তিনটি ইনক্রিমেন্টসহ বর্ধিত বেতন-সুবিধা বহাল করে গেজেট প্রকাশ।
ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক ও সমিতির কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আবসার উদ্দিন বলেন, কর্মবিরতির কারণে বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত রয়েছে। শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে শুক্র ও শনিবার পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে ফলাফলও দেওয়া সম্ভব।
রিপোর্টার্স২৪/ঝুম