রিপোর্টার্স২৪ ডেস্ক: ধনী দেশগুলোতে কাজের উদ্দেশ্যে অভিবাসনের প্রবাহ গত এক বছরে ২১ শতাংশ কমে প্রায় ৯ লাখ ৩৪ হাজারে নেমে এসেছে। অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থা (ওইসিডি) বলছে, এর প্রধান কারণ হলো দুর্বল শ্রমবাজার এবং ভিসা নীতির কড়াকড়ি, বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্যে।
ওইসিডির আন্তর্জাতিক অভিবাসন বিভাগের প্রধান জ্যঁ-ক্রিস্তফ দুমঁ জানান, বিশ্ব অর্থনীতির প্রতিকূল অবস্থা ও শ্রমের চাহিদার ঘাটতি অভিবাসনকে প্রভাবিত করছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এ বছর বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়েছে।
কর্মী চাহিদা কমায় এবং ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ইউক্রেনীয়দের অস্থায়ী অবস্থান বৃদ্ধি পেয়ে কিছু খাতে শ্রমঘাটতি কমেছে। ২০২২ সালের পর ওইসিডি দেশগুলোতে প্রায় ৫১ লাখ ইউক্রেনীয় কাজের বা অস্থায়ী অভিবাসন করেছেন।
অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী আগমনও ১৩ শতাংশ কমেছে, যেখানে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার ভিসা নীতির কড়াকড়ি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তবে মানবিক অভিবাসন, আশ্রয়প্রার্থীদের প্রবাহ এবং অবৈধ অভিবাসন বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৩-২৪ সালের মধ্যে ওইসিডি দেশগুলোতে ৬২ লাখ নতুন আগমনকারী এসেছে, যা ২০১৯ সালের তুলনায় প্রায় ১৫ শতাংশ বেশি।
ভবিষ্যতের দিকেই দৃষ্টি দিলে, দুমঁ বলেন, ২০২৫ সালে কাজভিত্তিক অভিবাসন সামান্য কমতে পারে, তবে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশগুলোতে মোট অভিবাসন এখনও বেশি থাকবে। বিশেষ করে কৃষি, নির্মাণ ও স্বাস্থ্যসেবার মতো খাতে বিদেশি শ্রমিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) বিশেষজ্ঞ ফাবিওলা মিয়েরেস বলেন, বিশ্বজুড়ে নির্বাচনী রাজনীতিতে অভিবাসন বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ থাকতে থাকবে, বিশেষ করে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে।
রিপোর্টার্স২৪/ঝুম