| বঙ্গাব্দ
Space For Advertisement
ad728

ইসরায়েল–সিরিয়া সমঝোতা সম্ভব, তবে ‘বাফার জোন’ চাই: নেতানিয়াহু

  • আপডেট টাইম: 02-12-2025 ইং
  • 648 বার পঠিত
ইসরায়েল–সিরিয়া সমঝোতা সম্ভব, তবে ‘বাফার জোন’ চাই: নেতানিয়াহু
ছবির ক্যাপশন: ছবি আল জাজিরা থেকে সংগৃহীত

রিপোর্টার্স২৪: ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সিরিয়ার সঙ্গে একটি সমঝোতা সম্ভব হলেও ইসরায়েল দাবি করছে দামেস্ক থেকে জাবাল আল–শেখ (ইসরায়েলের ভাষায় হার্মন পর্বত) পর্যন্ত বিস্তৃত একটি নিরস্ত্রীকৃত বাফার জোন। বর্তমানে ওই এলাকা ইসরায়েলের দখলে রয়েছে।

মঙ্গলবার নেতানিয়াহুর এই মন্তব্য আসে একদিন পর, যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, তিনি চান সিরিয়া ও ইসরায়েল ‘দীর্ঘ ও সমৃদ্ধ সম্পর্ক’ গড়ে তুলুক। কয়েক মাস ধরে চলা দুই দেশের নিরাপত্তা–বিষয়ক আলোচনায় সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে খুব বেশি অগ্রগতি হয়নি।

সিরিয়া এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয় না। গত এক বছরে ইসরায়েল সিরিয়ার আরও বেশি ভূখণ্ড দখল করেছে। ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে গোলান মালভূমি দখল করে ইসরায়েল পরে সেটি একতরফাভাবে সংযুক্ত করে নেয়, যা যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নয়।

২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল–আসাদের পতনের পর ইসরায়েল ১৯৭৪ সালের চুক্তি ভঙ্গ করে জাবাল আল–শেখসহ সিরিয়ার নতুন অঞ্চল দখল করে। কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এ পর্বত উত্তর ইসরায়েল ও দক্ষিণ সিরিয়ার ওপর নজরদারির সুবিধা দেয়।

গত এক বছরে ইসরায়েল সিরিয়ার ভেতরে বারবার হামলা চালিয়েছে। সর্বশেষ গত শুক্রবার বেইত জিন অঞ্চলে ইসরায়েলি অভিযানে ১৩ জন নিহত হয়।

নেতানিয়াহু বলেন,আমরা আশা করি সিরিয়া দামেস্ক থেকে হার্মন পর্বতের দিকে নিরস্ত্রীকৃত বাফার জোন তৈরি করবে। ইসরায়েলের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই অঞ্চল আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা জরুরি।

তিনি আরও বলেন, সদিচ্ছা থাকলে সিরিয়ার সঙ্গে চুক্তি সম্ভব, তবে ইসরায়েল তার মূল নিরাপত্তা নীতিতে ছাড় দেবে না।

যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়া ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি ‘নন-অ্যাগ্রেশন প্যাক্ট’ বা অ-আক্রমণ চুক্তির চেষ্টা করছে। সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল–শারার প্রতি প্রকাশ্যে সমর্থনও জানিয়েছে ওয়াশিংটন।

ট্রাম্প বলেন,সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট খুব পরিশ্রম করছেন। আমরা চাই সিরিয়া ও ইসরায়েল দীর্ঘমেয়াদি সমৃদ্ধ সম্পর্ক স্থাপন করুক। এর কিছুক্ষণ পরই নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানায়, দুই নেতা ফোনে কথা বলেছেন।

ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, দুই দেশের আলোচনায় অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে; বিশেষত গত এক বছরে দখল করা অঞ্চল ফেরত দিতে নেতানিয়াহুর অনীহার কারণে।

এ ছাড়া ইসরায়েল reportedly দাবি করছে, ভবিষ্যতে ইরানে হামলার প্রয়োজন হলে সিরিয়ার আকাশসীমা ব্যবহার করার জন্য তারা একটি স্থায়ী ‘এয়ার করিডর’ রাখতে চায়।- আল জাজিরা

রিপোর্টার্স২৪/এসসি

ad728

নিউজটি শেয়ার করুন

ad728
© সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ রিপোর্টার্স২৪ -সংবাদ রাতদিন সাতদিন | আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ
সকল কারিগরী সহযোগিতায় ক্রিয়েটিভ জোন ২৪