রিপোর্টার্স২৪ ডেস্ক: নাইজেরিয়ার মধ্যাঞ্চলে আবারও ভয়াবহ অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। সশস্ত্র বন্দুকধারীরা সেন্ট মেরিস নামের একটি ক্যাথলিক স্কুলে হামলা চালিয়ে ২২৭ জন শিক্ষার্থী ও শিক্ষককে অপহরণ করেছে। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) দেশটির কর্তৃপক্ষ এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। এক সপ্তাহের মধ্যেই দেশে এটি দ্বিতীয় বড় ধরনের গণ-অপহরণ, যা নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে।
ক্রিশ্চিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব নাইজেরিয়ার এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, অপহৃত ২১৫ শিক্ষার্থীই ছাত্রী এবং তাদের পাশাপাশি ১২ জন শিক্ষককেও তুলে নিয়ে গেছে হামলাকারীরা। স্কুলটিতে হঠাৎ ঢুকে অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে দ্রুতই অজানা স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।
অপহরণের ঘটনার পর নিরাপত্তা বিবেচনায় আশপাশের কাতসিনা ও মালভূমি রাজ্যের প্রশাসন সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। একইভাবে নাইজার রাজ্য সরকারও একাধিক স্কুল বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা জানিয়েছে।
এ সংকটের প্রভাব দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি গুরুতর হওয়ায় নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবু তাঁর আন্তর্জাতিক সফর বাতিল করেছেন। এতে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিতব্য জি-২০ সম্মেলনে তাকে অংশগ্রহণের পরিকল্পনাও বাতিল করা হয়েছে। এর আগে গত সোমবার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় কেব্বি রাজ্যের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বন্দুকধারীরা হামলা চালিয়ে ২৫ জন ছাত্রীকে অপহরণ করেছিল।
এদিকে দেশের পশ্চিমাঞ্চলে একটি চার্চে হামলার ঘটনায় দুইজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নাইজেরিয়ায় খ্রিস্টানদের ওপর হামলা নিয়ে সামরিক পদক্ষেপের হুমকি দেওয়ার পর পরই দেশটিতে একের পর এক সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। এই সাম্প্রতিক অপহরণ–সহিংসতাগুলো সেই পরিস্থিতিরই ধারাবাহিকতা বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্র: এএফপি
রিপোর্টার্স২৪/ঝুম