রিপোর্টার্স২৪ডেস্ক: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুক্রবার তাঁর দল ও জোটের জন্য দেশের দরিদ্রতম রাজ্য বিহারের একটি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক নির্বাচনে এই বিজয়কে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
১৩ কোটি জনসংখ্যার পূর্বাঞ্চলীয় এই রাজ্যকে ব্যাপকভাবে একটি সূচক হিসেবে দেখা হচ্ছিল; নয়াদিল্লি দ্রুতগতির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে মোদি কতটা দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য রাজনৈতিক সুফলে রূপান্তর করতে পারেন, তার পরীক্ষা হিসেবে।
ভোট গণনা এখনো চলছে এবং চূড়ান্ত ফল শনিবারের আগে প্রকাশ নাও হতে পারে। তবে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আংশিক ফলাফল ও পূর্বাভাস অনুযায়ী মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ও তার মিত্ররা রাজ্য বিধানসভায় একটি দৃঢ় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে পারে।
মোদি এই বিজয়কে “সুশাসনের জয়” হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, “এই জোরালো গণরায় আমাদের জনগণের সেবা করতে এবং বিহারের জন্য নতুন সংকল্প নিয়ে কাজ করতে শক্তি দেবে।”
হিন্দিভাষী উত্তর ভারতে বিহারই একমাত্র রাজ্য যেখানে মোদির দল কখনো এককভাবে শাসন করেনি। এবারও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া সম্ভাবনা কম, তবে তারা জোটসঙ্গী জনতা দল (ইউনাইটেড)-এর চেয়ে বড় দল হিসেবে উঠে আসবে বলেই মনে হচ্ছে।
ছোট ছোট রাজনৈতিক সহযোগীদের সঙ্গে মিলিয়ে তারা রাজ্যের ২৪৩ সদস্যের বিধানসভায় অন্তত তিন-চতুর্থাংশ আসন পেতে পারে বলে নির্বাচন কমিশনের তথ্য জানাচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই ফলাফল মোদি ও তাঁর দলকে আগামী বছর অনুষ্ঠিতব্য অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক নির্বাচনের আগে বড় ধরনের রাজনৈতিক শক্তি দেবে। পাশাপাশি সাম্প্রতিক কঠিন অর্থনৈতিক ও পররাষ্ট্রনীতিগত চ্যালেঞ্জ যেমন প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে সশস্ত্র সংঘাত এবং যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শুল্ক পরিস্থিতির মধ্যেও ভারতীয় নেতাকে আরও দৃঢ় অবস্থান এনে দিতে পারে। সূত্র: ডন
রিপোর্টার্স২৪/ এসসি