| বঙ্গাব্দ
Space For Advertisement
ad728

চালকের ঘুমে কেড়ে নিল ৭ প্রাণ, বাহারের পরিবারে শোকের মাতম

  • আপডেট টাইম: 06-08-2025 ইং
  • 435012 বার পঠিত
চালকের ঘুমে কেড়ে নিল ৭ প্রাণ, বাহারের পরিবারে শোকের মাতম

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : 
এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় লক্ষ্মীপুরের একই পরিবারের সাতজন নিহত হয়েছেন। বুধবার (৬ আগস্ট) ভোরে নোয়াখালী বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাইয়াপুর ইউনিয়নের পূর্ব বাজার এলাকায় লক্ষ্মীপুর-চৌমুহনী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশের খালে মাইক্রোবাস পড়ে দুর্ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীরা শোকে কাতর হয়ে পড়েছেন। প্রবাসী বাহারের বাড়িতে এখন চলছে শোকের মাতম। এর আগে মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাতে প্রবাসী বাহার উদ্দিনকে আনার জন্য মাইক্রোবাসে পরিবারের সদস্যরা বিমানবন্দরে যান। 

রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফেরার পথে চালক ঘুমিয়ে যাওয়ায় মাইক্রোবাসটি খালে পড়ে যায়। এ দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফেরা প্রবাসী বাহার উদ্দিন ও আব্দুর রহিম বলেন, চালক রাসেল ঘুম চোখে নিয়ে মাইক্রোবাস চালাচ্ছিল। বার বার বলা সত্যেও গাড়ি থামিয়ে বিশ্রাম নেয়নি সে। 

এর আগে কুমিল্লায় একটা দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যায়। কিন্তু বাড়ি থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার আগে চালক ঘুমিয়ে পড়ায় মাইক্রোবাসটি সড়কের পাশে খালে ফেলে দেয়। গাড়িটি তাৎক্ষণিক ডোবেনি, ধীরে ধীরে ডুবছিল। তখন চালককে গাড়ির লক খুলতে বললেও সে খোলেনি। তবে সে নিজে গাড়ির কাঁচ নামিয়ে বের হয়ে পালিয়ে যায়। কাউকে বাঁচানোর চেষ্টাও করেনি। 

এক পর্যায়ে গাড়ি থেকে প্রবাসী বাহার, তার বাবা আব্দুর রহিম, শ্বশুর ইস্কান্দার মীর্জা, ভাবি সুইটি ও শ্যালক রিয়াজ বের হয়ে আসেন। তবে এ দুর্ঘটনায় বাঁচতে পারেনি বাহারের স্ত্রী কবিতা আক্তার (২৪), মেয়ে মীম আক্তার (২), মা মুরশিদা বেগম (৫০), নানী ফয়জুন নেছা (৭০), ভাতিজি রেশমা আক্তার (৯), লামিয়া আক্তার (৭) ও বড় ভাইয়ের স্ত্রী লাবনী আক্তার (২৫)। নিহতরা সবাই লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের চৌপল্লী এলাকার কাশারি বাড়ির বাসিন্দা।

স্থানীয়রা জানান, ভোর ৫টা ১৫ মিনিটের দিকে হঠাৎ দ্রুত গতিতে মাইক্রোবাসটি খালের পানিতে নেমে যায়। এর পরপরই চালক খালের পানি থেকে বের হয়ে পালিয়ে যান। বাহার উদ্দিনসহ পাঁচজন গ্লাস ভেঙে বের হয়ে আসতে পারলেও বাকি সাতজন গাড়ির ভেতরে আটকা পড়েন। তারা প্রায় দুই ঘণ্টা পানির নিচে ছিলেন। স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসের কাছে ডুবুরি চাইলে ফায়ার সার্ভিস জানায়, এখানে ডুবুরি নেই। বেগমগঞ্জ ও মাইজদী থেকে দুটি ইউনিট এলেও তারা কাউকে উদ্ধার করতে পারেনি। পরে হাইওয়ে পুলিশের রেকার দিয়ে গাড়িটি ওঠানোর পর মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।

চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোবারক হোসেন ভূঁইয়া বলেন, চালক ঘুমিয়ে পড়ায় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে যায়। কয়েকজন বের হতে পারলেও সাতজন ভেতরে আটকা পড়ে মারা যান। তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহগুলো বাড়িতে নিয়ে গেছে স্বজনরা। 

ad728

নিউজটি শেয়ার করুন

ad728
© সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ রিপোর্টার্স২৪ -সংবাদ রাতদিন সাতদিন | আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ
সকল কারিগরী সহযোগিতায় ক্রিয়েটিভ জোন ২৪