| বঙ্গাব্দ
Space For Advertisement
ad728

প্রাথমিক শিক্ষকদের তিন দিনের কর্মবিরতি শুরু, বন্ধ পাঠদান

  • আপডেট টাইম: 25-11-2025 ইং
  • 38527 বার পঠিত
প্রাথমিক শিক্ষকদের তিন দিনের কর্মবিরতি শুরু, বন্ধ পাঠদান
ছবির ক্যাপশন: প্রাথমিক শিক্ষকদের তিন দিনের কর্মবিরতি শুরু, বন্ধ পাঠদান

রিপোর্টার্স২৪ ডেস্ক: তিন দফা দাবি বাস্তবায়নের হিসেবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা আজ থেকে তিন দিনের পূর্ণদিবস কর্মবিরতি শুরু করেছেন। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচি চলবে আগামী বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) পর্যন্ত, এবং কর্মবিরতির কারণে দেশের ৬৫ হাজারের বেশি বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরে সরকারের সঙ্গে আলোচনা চললেও প্রত্যাশিত অগ্রগতি না পাওয়ায় ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ’ এই কর্মসূচির ডাক দেয়। সংগঠনের নেতারা জানান, সহকারী শিক্ষককে এন্ট্রি পদ হিসেবে ধরে ১১তম গ্রেড প্রদান, শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি এবং চাকরির ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার প্রক্রিয়া সহজ করা। এই তিন দাবিকে কেন্দ্র করেই আন্দোলন চলছে।

মঙ্গলবার ঢাকার যেসব মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধমঙ্গলবার ঢাকার যেসব মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধ সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেরা বেগম সোমবার রাতে জানান, দীর্ঘ আলোচনার পরও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না আসায় পূর্ণদিবস কর্মবিরতি ছাড়া বিকল্প ছিল না। তার ভাষায়, আলোচনায় বারবার আশ্বাস পাওয়া গেলেও বাস্তবে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখা যায়নি। দাবি আদায়ে অগ্রগতি না হলে বার্ষিক পরীক্ষা বর্জন এবং ১১ ডিসেম্বর থেকে লাগাতার অনশন কর্মসূচির পরিকল্পনাও রয়েছে বলে তিনি জানান।

ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক শাহীনূর আকতার এক বিবৃতিতে বলেন, তিন দফা দাবিতে সহকারী শিক্ষকরা বহুদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন। গত ১ নভেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হলেও সরকার কোনো উদ্যোগ নেয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি। এজন্য কর্মসূচি জোরদারের আহ্বান জানানোর পাশাপাশি দাবি বাস্তবায়নে সহকারী শিক্ষকদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৭টি এবং এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ ৮৪ হাজার। গত ২৪ এপ্রিল প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১১তম থেকে ১০ম গ্রেডে এবং ১৩তম গ্রেডের শিক্ষকদের ১২তম গ্রেডে উন্নীত করা হয়। তবে এতে সহকারী শিক্ষকরা অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। 

সহকারী শিক্ষকরা বলছেন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, নার্স, কৃষি কর্মকর্তা, পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর ও সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা স্নাতক ডিগ্রি নিয়েই দশম গ্রেড পাচ্ছেন। অথচ প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা স্নাতক ডিগ্রির পাশাপাশি সিএনএড, বিপিএড বা বিটিপিটি কোর্স সম্পন্ন করেও এখনো ১৩তম গ্রেডেই আটকে আছেন।

তাদের দাবি শিক্ষকদের মর্যাদা ও আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দ্রুত গ্রেড সংশোধনসহ ঘোষিত তিন দফা বাস্তবায়ন জরুরি।


রিপোর্টার্স২৪/ঝুম

ad728

নিউজটি শেয়ার করুন

ad728
© সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ রিপোর্টার্স২৪ -সংবাদ রাতদিন সাতদিন | আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ
সকল কারিগরী সহযোগিতায় ক্রিয়েটিভ জোন ২৪